হিন্দের যুদ্ধে আমাদের জন্য আগাম বিজয়ের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। হিন্দের যুদ্ধ কখন হবে তা বিশ্লেষণ করে যে সময় পাওয়া যায় দেখা যায় সেই সময়টি হচ্ছে বর্তমান সময় এবং এটি শতাব্দীর মুজাদ্দিদের আগমনের সময়কালও। আর বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই মুজাদ্দিদই হিন্দের যুদ্ধের আমীর বা নেতা বা ইমাম হবেন। স্পষ্টতই বুঝা যায় যে, তিনি আল্লাহর মনোনীত বান্দা এবং মুশরিকদের সাথে এই যুদ্ধ তাঁর নেতৃত্বে হবে এবং আল্লাহর সাহায্য তার জামায়াতে থাকবে বলেই এই বিজয় হবে। তবে এই যুদ্ধে বিজয়ের কারণের মধ্যে রয়েছে-
১। এই যুদ্ধটির কথা, এর মর্যাদার কথা ও তাতে বিজয়ী হওয়ার কথা আমাদের নবী ﷺ তাঁর জামানাতেই বলে গেছেন। আর তাই এই ভবিষ্যৎবাণী সত্য প্রমাণিত হবে।
২। আল্লাহ তায়ালার মনোনীত ও পছন্দনীয় বান্দারা এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিবে ও তাদের সঙ্গে সত্যান্বেষী মুজাহিদরা যুদ্ধ করবে। যা হবে কুরআনে মুমিনদের বিজয়ী হওয়ার ঘোষণার বাস্তবায়ন।
৩। আল্লাহ মুশরিকদের কখনোই মুসলিমদের ওপর বিজয়ী করবেন না। তাই তাদের পতন ঘটাবেন।
৪। আল্লাহ জামানার পরিবর্তন ঘটান এবং শতবর্ষী মুজাদ্দিদ এর মাধ্যমে দ্বীনকে সংস্কার করবেন। এর মাধ্যমে এই ধরণীতে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠিত হবে যা হিন্দের যুদ্ধ বিজয়ের কারণ হবে।
৫। এই যুদ্ধ থেকেই মুসলিমদের ঘুরে দাঁড়ানো হবে এবং বিজয় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। আর ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের আগেই তার খিলাফতকে প্রস্তুত করবে।
৬। সর্বোপরি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা ইসলামকে সকল দ্বীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত করবেন।
কুরআনে এসেছে-
يُرِيدُونَ لِيُطْفِـُٔوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوٰهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِۦ وَلَوْ كَرِهَ الْكٰفِرُونَ. هُوَ الَّذِىٓ أَرْسَلَ رَسُولَهُۥ بِالْهُدٰى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُۥ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِۦ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ.
তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পরিপূর্ণ করবেনই যদিও কাফিররা (তা) অপছন্দ করে। তিনিই তাঁর রসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন তাকে সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করার জন্য- যদিও মুশরিকরা (তা) অপছন্দ করে। (সূরা আছ-ছফ, আঃ ৮-৯)
0 মন্তব্যসমূহ