৬.৫২ সবচেয়ে বড় ফেতনা

 যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ...... আবু দাহমা, আবু কাতাদাহ্ (রা:) ও অনুরূপ আরো কতক ব্যক্তি হতে বর্ণিত। তারা বলেন, হিশাম ইবনু আমির এর সামনে দিয়ে আমরা ইমরান ইবনু হুসায়নের কাছে যেতাম। একদিন হিশাম (রা:) বললেন, তোমরা আমাকে অতিক্রম করে এমন লোকের কাছে যাচ্ছ, যারা আমার চেয়ে রসূলুল্লাহ এর নিকট বেশি উপস্থিত হয়নি এবং যারা রসূলুল্লাহ এর হাদীসের ব্যাপারে আমার চেয়ে বেশি জানে না। আমি রসূলুল্লাহ কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, আদম (আঃ) এর সৃষ্টির পর হতে কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দাজ্জালের চেয়ে মারাত্মক আর কোন ফিতনা সৃষ্টি হবে না।

-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২৮৫-(১২৬/২৯৪৬, ২৯৪৯) [ইঃ ফাঃ ৭১২৮, ইঃ সেঃ ৭১৮১]; রিয়াযুস স্বা-লিহীন তাঃ পাঃ ৭/১৮২৩ [আন্তঃ ১৮১৪]; মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৬৯; সহীহুল জামি ৫৫৮৮; মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ৩৭৪৭১; মুসনাদে আহমাদ ১৫৫৫, ১৬২৯৮; আল মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১৭৯০২; আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৮৬১০)

হযরত হিশাম ইবনে আমের হতে বর্ণিত যে, আমি রসূল কে বলতে শুনেছি যে, আদম আ. এর সৃষ্টি হতে কিয়ামত সংগঠিত হওয়া পর্যন্ত বড় বিষয় (ফিতনা) হলো দাজ্জাল।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১৪৫০ [পথিক প্রকা: ১৪৪৮; মারফু, মুরসাল])

হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা:) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ এরশাদ করেন, তোমাদের (মুসলমানদের মধ্যে) কোনো কোনো গোষ্ঠি ফিতনাগ্রস্থ হওয়ার ব্যাপারে আমার কাছে অবশ্যই দাজ্জালের ফিতনাই সর্বাধিক আশংকাজনক। আর যারা তার সম্মুখিন হবে তাদের মধ্যে যে তার থেকে (ইমান নিয়ে) বাঁচার সে বাদে তাদের একজনও (তার ফিতনা থেকে) বাঁচতে পারবে না। দুনিয়ার সৃষ্টি থেকে নিয়ে (যত) ছোট ও বড় ফিতনা সংঘটিত হয়েছে, (সেগুলোর একটাও) দাজ্জালের ফিতনার মতো (ভয়ানক) নয়।
-       (মুসনাদে আহমদ ৫/৩৮৯; মুসনাদে বাযযার ৩৩৯২; মাজমাউ যাওয়ায়ীদ, হাইছামী ৭/৩৩৬)

ইয়াহইয়া ইবনু আইয়্যুব, কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ ও ইবনু হুজর (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (রা:) হতে বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ বলেনঃ ছয়টি ঘটনা সংঘটিত হওয়ার আগেই তোমরা নেক আমলে দ্রুততা অবলম্বন করো, তা হলো- (১) পশ্চিমাকাশ হতে সূর্যোদয় হওয়া, (২) ধোঁয়া উত্থিত হওয়া, (৩) দাজ্জাল আবির্ভাব হওয়া, (৪) দাব্বাহ, অদ্ভুত জন্তুর আত্মপ্রকাশ, (৫) খাস বিষয় [কারো ব্যক্তিগত মৃত্যু] ও (৬) আম বিষয় বা সার্বজনিক বিপদ (জাতিগত আযাব)।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২৮৭-(১২৮/২৯৪৭) [ইঃ ফাঃ ৭১৩০, ইঃ সেঃ ৭১৮২])

আবু হুরায়রাহ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেন: তিনটি নিদর্শন যখন প্রকাশ পাবে তখন আর কারো ঈমান ও আমল তার কোন কাজে আসবে না, যদি তার পূর্বে ঈমান এনে না থাকে অথবা ঈমানের সাথে আমল সঞ্চয় না করে থাকে। আর তা হলো পশ্চিমাকাশ থেকে সূর্য উদিত হওয়া, দাজ্জালের আবির্ভাব এবং দাব্বাতুল আরদ বের হওয়া।
-       (সহীহ, মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৬৭; সহীহুল মুসলিম ২৪৯-(২৫৮); সুনান তিরমিযী ৩০৭২; মুসনাদে আহমাদ ৯৭৫; সহীহুল জামি' ৩০২৩)

হযরত আবু উমামা আল বাহেলী থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রসূল আমাদেরকে ভাষণ দিতেন। আর তার ভাষণের অধিকাংশ সময় বিষয়বস্তু থাকতো দাজ্জাল সম্পর্কে আমাদের কি ঘটাবে। আমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করতেন। তার কথা এরূপ হতো, হে মানুষ সকল.... দাজ্জালের ফিতনা থেকে বড় কোন ফিতনা দুনিয়াতে নেই। আর আল্লাহ তা'য়ালা তার উম্মতকে সতর্ক করার জন্য কোন নবী প্রেরণ করবেন না। আর আমি হলাম শেষ নবী। আর তোমরা হলে শেষ উম্মত। আর দাজ্জাল নিঃসন্দেহে তোমাদের মধ্যে বাহির হবে। আমার জীবিত থাকা অবস্থায় যদি সে বাহির হয় তাহলে আমি সকল মুসলমানদের মধ্যে আমিই দলিল প্রমাণে বিজয়ী হব। আর যদি আমার পরে বের হয় তাহলে তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তিই সরাসরি দলিল প্রমাণে তার মুকাবিলা করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'য়ালা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সহায়ক। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে তার সাক্ষাত পাবে সে যেন তার চেহারায় থুথু নিক্ষেপ করে। এবং সূরা কাহাফের প্রথমাংশ পড়ে।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১৪৪৬ [পথিক প্রকা: ১৪৪৪; তাহকীক: সহীহ])

আলী ইবন হুজর (রহঃ) ...... নাওওয়ান ইবন সামআন কিলাবী (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন সকালে রসূলুল্লাহ দাজ্জালের আলোচনা করলেন এবং বিষয়টির ভীষণতা এবং নিকৃষ্টতা সব কিছু তুলে ধরেন। এমনকি আমাদের ধারণা হচ্ছিল, যে সে খেজুর বাগানে উপস্থিত রয়েছে।

নাওওয়াস (রা:) বলেনঃ আমরা রসূলুল্লাহ এর কাছ থেকে ফিরে গেলাম। পরে বিকালে আবার তাঁর কাছে এলাম। তিনি আমাদের মাঝে দাজ্জালের ভীতির চিহ্ন দেখে বললেনঃ তোমাদের একি অবস্থা? আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি সকালে দাজ্জালের আলোচনা করেছিলেন এবং বিষয়টির ভীষণতা এবং নিকৃষ্টতা এমন উল্লেখ করেছিলেন যে, আমাদের মনে হচ্ছিল সে বুঝি খেজুর বাগানে কিনারে এসে হাজির। তিনি বললেনঃ তোমাদের জন্য দাজ্জাল ছাড়া অনূ কিছুর অধিক আশংকা আমার রয়েছে। তোমাদের মাঝে আমার জীবদ্দশায় যদি এর আবির্ভাব হয় তবে আমিই তোমাদের পক্ষে এ বিরুদ্ধে বিতর্কে জয়ী হব। আর আমি যদি তোমাদের মাঝে না থাকি তখন যদি সে বের হয় তবে প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের পক্ষে তার বিরুদ্ধে বিতর্ককারী হবে। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আমার স্থলে আল্লাহ তাআলা নিজেই সহায়ক হবেন।

দাজ্জাল হল এক যুবক। তার চুল অতিশয় কুকড়ানো, চোখ তার স্থির। আবদুল উযযা ইবন কাতান সদৃশ হবে। তোমাদের কেউ যদি তাকে পায় তবে সে যেন সূরাতুল কাহফ-এর শুরুর আয়াতগুলো তিলাওয়াত করে। তিনি আরো বলেনঃ শাম ও ইরাকের মধ্যবর্তী অঞ্চল থেকে সে বের হবে। ডান দিক ও বাম দিক সে ফেতনা-ফাসাতের সৃষ্টি করে ফিরবে। হে আল্লাহর বান্দাগণ, তোমরা দৃঢ় থাকবে।

আমরা বললামঃ ইয়া রসূলুল্লাহ, যে দিনটি হবে এক বছরের মত বড় সে দিন কি একদিনের সালাতেই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে বলে আপনি মনে করেন? তিনি বললেনঃ না, বরং তোমরা এর জন্য (স্বাভাবিক দিনের পরিমাণ) আন্দাজ করে নিবে (এবং সে হিসাবে ছলাত আদায় করবে)।

আমরা বললামঃ ইয়া রসূলুল্লাহ পৃথিবীতে কত দ্রুত হবে তার গতি?

তিনি বললেনঃ বায়ু তাড়িত মেঘমালার মত। কোন এক সম্প্রদায়ের কাছে আসবে। তাদেরকে সে নিজের দলে ডাকবে। কিন্তু তারা তাকে অস্বীকার করবে এবং তার দাবী প্রত্যাখান করবে। সে তখন তাদের থেকে ফিরে আসবে আর তার পিছে পিছে তাদের সব সম্পদও চলে আসবে। তাদের হাতে আর কিছুই থাকবে না। তারপর সে আরেক সম্প্রদায়ের কাছে যাবে। সে তাদেরকে নিজের দিকে ডাকবে। তারা তার কথা গ্রহণ করবে এবং তাকে সত্য বলে স্বীকার করে নিবে। তখন সে আকাশকে বৃষ্টি ঝড়াতে নির্দেশ দিবে। তারপর তদানুসারে বৃষ্টি নামবে। যমীনকে সে উদ্ভিদ জন্মাতে নির্দেশ দিবে ফলে ফসল হবে। বিকালে তাদের পশুপালগুলো পূর্বের চেয়েও লম্বা, কুঁজ, বিস্তৃত নিতম্ব, দুগ্ধপুষ্ট ওলান বিশিষ্ট হয়ে ফিরে আসবে।

তারপর সে এক বিরান ধবংসস্তুপে আসবে। সেটিকে লক্ষ্য করে বলবেঃ তোমার ধনভান্ডার বের করে দাও। তারপর সে এখান থেকে ফিরে আসবে আর যেভাবে রানী মৌমাছিকে ঘিরে ধরে অন্যগুলি তার অনুসরণ করে থাকে তেমনিভাবে সব ধনভান্ডার তার অনুসরণ করবে। এরপর সে যৌবনে পরিপূর্ণ এক তরুণ যুবককে তার দিকে আহবান জানাবে। তাকে সে তলোয়ারের আঘাতে দ্বিখন্ডিত করে ফেলবে। পরে তাকে ডাকবে। যুবকটি (জীবিত হয়ে) হাস্যেজ্জল চেহারা নিয়ে এদিকে আসবে। এমতাবস্থায় এদিকে ঈসা (আঃ) দুই ফিরিশতার পাখনায় তাঁর হাত রেখে গেরুয়া রঙ্গের বসনে স্বেত-শুভ্র মিনারার কাছে পূর্ব দামিশকে অবতরণ করবেন। তাঁর মাথা নীচু করলে পানি ঝরতে থাকবে আর তা উঠানে মোতির মত ফোটায় ফোটায় পানি পড়বে। রসূলুল্লাহ বলেনঃ যাকেই তাঁর শ্বাস প্রশ্বাস স্পর্শ করবে সেই মারা যাবে। চক্ষু দৃষ্টি যেখানে গিয়ে শেষ হবে সেখানে পর্যন্ত তাঁর নিঃশ্বাসের বাতাস পৌছবে। তিনি দাজ্জালকে তালাশ করবেন এবং লুদ (বায়তুল মুকাদ্দাসের নিকটবর্তী একটি শহর)-এর নগর দরওয়াজার কাছে তাকে পাবেন। তারপর একে তিনি হত্যা করবেন।

আল্লাহ যতদিন চান তিনি এভাবে বসবাস করবেন। পরবর্তীতে আল্লাহ তাআলা তাকে ওয়াহী পাঠাবেনঃ আমার বান্দাদেরকে তুর পাহাড়ে সরিয়ে নাও। আমি আমার এমন একদল বান্দা নামাচ্ছি যাদের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা কারো নেই। এরপর আল্লাহ তাআলা ইয়াজুজ-মাজুজের দল পাঠাবেন। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার বিবরণ মত প্রতি উচ্চ ভূমি থেকে তারা ছুটে আসবে। তাদের প্রথম দলটি তাবারিয়া উপসাগর (শামে অবস্থিত একটি ছোট সাগর) অতিক্রম করা কালে এর মাঝে যা পানি আছে সব পান করে ফেলবে। এমন অবস্থা হবে যে, পরে তাদের শেষ দলটি যখন এই উপসাগর অতিক্রম করবে তখন তারা বলবে এখানে এক কালে হয়ত পানি ছিল। আবার তারা চলবে এবং বায়তুল মুকাদ্দাসে পর্বতে যেয়ে তাদের এই যাত্রার শেষ হবে। তারা পরস্পর বলবেঃ পৃথিবীতে যারা ছিল তাদেরকে তো বধ করেছি এস এবার আসমানে যারা আছে তাদের শেষ করে দেই। তারপর তারা আসমানের দিকে তাদের তীর ছুড়বে। আল্লাহ তাআলা তাদের তীরগুলোকে রক্ত রঞ্জিত করে ফিরিয়ে দিবেন। ঈসা ইবন মারয়াম (আঃ) ও তাঁর সঙ্গীগণ অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকবেন। তাদের অবস্থা এমন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে যে, আজকে তোমাদের কাছে একশত স্বর্ণ মুদ্রার যে দাম তাদের কাছে তখন একটি ষাড়ের মাথাও তদপেক্ষা অনেক উত্তম বলে মনে হবে।

রসূলুল্লাহ বলেনঃ তারপর ঈসা (আঃ) ও তাঁর সঙ্গীগণ আল্লাহর কাছে মিনতি জানাবেন। আল্লাহ তাআলা তাদের গর্দানে নাগাফ জাতীয় এক জীবানু মহামারীরূপে প্রেরণ করবেন। তারা সব ধ্বংস হয়ে মরে যাবে যেন একটি মাত্র প্রাণের মৃত্যু হল। এরপর ঈসা (আঃ) ও তার সঙ্গীগণ পাহাড় থেকে নেমে আসবেন, কিন্তু তারা এব বিঘৎ জায়গাও এমন পাবেন না যেখানে ইয়জুজ-মাজুজের গলিত চর্বি, রক্ত ও দুগন্ধ ছড়িয়ে না আছে। তারপ ঈসা (আঃ) ও তাঁর সঙ্গীগণ আল্লাহর কাছে আবার মিনতি জানাবেন। তখন আল্লাহ তাআলা উটের মত লম্বা গলা বিশিষ্ট এক প্রকার পাখি প্রেরণ করবেন। পাখিগুলি ইয়াজুজ-মাজুজদের লাশ উঠিয়ে নীচু গর্তে নিয়ে ফেলে দিবে। মুসলিমগণ তাদের ফেলে যাওয়া ধনুকে জ্যা, তীর এবং তূণীর সাত বছর পর্যন্ত জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করবে। আল্লাহ তাআলা প্রবল বৃষ্টি করবেন শহর বা গ্রামের কোন বাড়িঘরই তা থেকে রক্ষা পাবে না। সমস্ত যমীন ধৌত হয়ে যাবে এবং তা আয়নার মত ঝক ঝকে হয়ে উঠবে।

পরে যমীনকে বলা হবে, তোমার সব ফল ও ফসল বের করে দাও, সব বরকত ফিরিয়ে দাও। এমন হবে যে সেদিন একটি আনার একদল লোক খেতে পারবে এবং একদল লোক এর খোসার নীচে ছায়া গ্রহণ করতে পারবে। দূধের মধ্যেও এমন বরকত হবে যে, একটি দুগ্ধবতী উট বহুসংখ্যক লোক বিশিষ্ট দলের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি দুগ্ধবতী গাভী একটি গোত্রের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি দুগ্ধবতী ছাগল একটি পরিবারের জন্য যথেষ্ট হবে।

এমন অবস্থায় তারা দিন গুযরান করতে থাকবে হঠাৎ আল্লাহ তাআলা এক হাওয়া চালাবেন। এই হাওয়া প্রত্যেক মুমিনের রূহ কবয করে নিয়ে যাবে। বাকী কেবল দুষ্টু লোকেরা থেকে যাবে। এরা গাধার মত নির্লজ্জভাবে নারী সঙ্গমে লিপ্ত হবে। এদের উপরই কিয়ামত সংঘটিত হবে।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২৬৩-(১১০/২৯৩৭) [ইঃ ফাঃ ৭১০৬, ইঃ সেঃ ৭১৬০]; সুনান তিরমিজী ইঃ ফাঃ ২২৪৩ [আল মাদানী প্রকাঃ ২২৪০]; মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৭৫; সুনান আবূ দাউদ ৪৩২১; সুনান ইবনু মাজাহ ৪০৭৫; মুসনাদে আবদ ইবনু হুমায়দ ৩৬৫; আস্ সুনানুল কুবরা লিন্ নাসায়ী ১০৭৮৩; আল মু'জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১৯৮৮৪; সহিহাহ ৪৮১; তাখরিজ ফাযায়েলুশশাম ২৫; মুসনাদে আহমদ ১৭৬২৯; মুসতাদরাকে হাকিম ৪/৬৬১ হাঃ ৮৫৭৩; আল-ইমান, ইমাম ইবনু মানদাহ ২/৯৩৩ হাঃ ১০২৭)

হযরত যেলা (রহ:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামান (রা:) কে বলতে শুনেছি, ইসলামের মধ্যে চার প্রকারের ফিতনা প্রকাশ পাবে। যাদের থেকে চতুর্থ প্রকারের ফিতনা গিয়ে বহুরূপী দাজ্জালের নিকট আত্মসমর্পণ করবে। তখন সবদিকে অন্ধকারে ছেঁয়ে যাবে।
-       (যঈফ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮০)

হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা:) হতে বর্ণিত। রসূল বলেছেন, চার প্রকারের ফিতনা সংঘটিত হবে। ১. খুন করাকে বৈধ মনে করা হবে। ২. অন্যের সম্পদকে বৈধ মনে করা হবে। ৩. নারীর লজ্জাস্থানকে বৈধ মনে করা হবে। ৪. দাজ্জালের আগমন।
-       (যঈফ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৬)

হযরত আবু সাদেক তিনি আব্দুল্লাহ হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন সর্বপ্রথম যে অধিবাসীদের দাজ্জাল ভীতি প্রদর্শন করবে তারা হলো কূফার অধিবাসী।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১৫১৩ [পথিক প্রকা: ১৫১১; তাহকীক: সহীহ])


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ