৬.৭ হিন্দেই প্রথমে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়া

 আগের পরিচ্ছেদ থেকে জুলফি তারকার ব্যাপারে জেনেছি যে এটি উদয় হওয়ার পরেই চূড়ান্ত দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। অন্যান্য বিভিন্ন হাদিস থেকেও দুর্ভিক্ষের আলামত বুঝা যায়। কিন্তু বিষয় হচ্ছে বিশ্বে যত দেশ আছে তারা সকলে একই রকম ধনী না। হিন্দুস্তান তথা ভারত উপমহাদেশে যে সকল দেশ আছে সেগুলো বেশির ভাগই গরীব। তাই অর্থনৈতিক মন্দা বা যুদ্ধ-বিগ্রহ দেখা দিলে এই পূর্ব দিকের দেশগুলোতেই আগে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে এটাই স্বাভাবিক। এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাদিসও এসেছে।

হযরত কাব (রহ:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আসমানের বুকে এক প্রকার লাল বর্ণের আত্মপ্রকাশ করবে। একটি তারকা উদিত হবে যেটা পূর্নিমার রাত্রির মত উজ্জল হয়ে হঠাৎ বাঁকা হয়ে যাবে। হাদীস বর্ণনাকার ওলীদ বলেন, আমার নিকট হযরত কাব থেকে সংবাদ এসেছে, তিনি বলেন, পূর্বদিকের এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে, পশ্চিমে জীর্ণতা প্রকাশ পাবে, আসমানে লালিমা দৃশ্যায়ন হবে এবং কেবলার দিকে ব্যাপকহারে মানুষ মারা যাবে।
-       (যঈফ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬২২)

হযরত হুযাইফা (রা:) বলেন, আমি আল্লাহর রসূল কে বলতে শুনেছি, মানুষের জীবনে এমন একটি সময় আসবে, যখন তারা বছরে দু এক বার বিপর্যস্ত হবে! যার একটি শুরু হবে বায়ু দ্বারা যা মুশরিকদের দূর্গ ক্ষতিগ্রস্তের মাধ্যমে! আর শেষ হবে দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে। আর এই দুর্ভিক্ষ শেষ হতেই মুশরিকরা একটি ফিতনা সৃষ্টি করবে! যার মুকাবিলা করার জন্য হিন্দুস্তানের পূর্ব অঞ্চল থেকে একদল মুসলিম ধাবিত হবে। কিন্তু মুশরিকরা তাদের এমন ভাবে হত্যা করবে যেমন ভাবে তোমরা এক নির্দিষ্ট দিনে (কুরবানীর দিন) পশুগুলোর উপর আল্লাহর নাম স্মরণ করো! ফলে তারা পরাজিত হবে। অনুরূপ আরেকটি মুসলিম দল মুশরিকদের দিকে ধাবিত হবে (মুকাবিলা করতে)। তাদের সাথে আল্লাহর সাহায্য থাকবে। তারাই বিজয়ী। একথা তিনি (রসূল ) তিন বার বললেন। অতঃপর বললেন, তাদের নেতা হবে দুর্বল! আহ্ প্রথম দলটির জন্য কতইনা উত্তম হতো যদি তারা তাদের নেতাকে গ্রহণ করতো! আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! তারা তাদের নেতাকে গ্রহণ করবে না কেন? তিনি বললেন, কেননা তারা সে সময় নিজেরাই নিজেদের যোগ্য মনে করবে! *
-       (আখীরুজ্জামানা আল মাহাদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ ১১৯)
-       * মুশরিকদের যে দুর্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে বিষয়ে জানতে বইয়ে এবং অনলাইনে দেখুন- পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিশান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া! হিন্দুদের জন্য অশনি সংকেত! ডকুমেন্টারি। তাতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। মুশরিকদের দুর্গ ক্ষতিগ্রস্তের মাধ্যমে এই ভবিষ্যৎবাণীটি সম্প্রতি সংঘটিত হয়েছে।

এই সকল হাদিস থেকে সহজেই বুঝা যায় যে হঠাৎ করেই দুর্ভিক্ষ শুরু হবে না। আস্তে আস্তে করে শুরু হবে। অর্থনৈতিক মন্দা, খাবারের সঙ্কট তৈরি হওয়া, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এগুলো সবই দুর্ভিক্ষের অন্তর্ভুক্ত বা পূর্বাভাস। হিন্দের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কাশ্মীর, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, কাশ্মীর ইত্যাদি। গরীব দেশ বা যে দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে উন্নত না, তারাই এই সঙ্কটের সম্মুখীন হবে। আর পশ্চিমারা-আরব দেশগুলো তাদের নিজেদের ব্যবস্থা করেই রেখেছে, অর্থাৎ অর্থনীতিতে এগিয়ে। তাদের এই সঙ্কট আসবে দেরিতে। তবে আসবে যে এতে কোন সন্দেহ নেই ইনশাআল্লাহ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ