ইমাম মাহমুদ ও সাহেবে কিরান যেহেতু এক অন্যের সাথে পরিচিত হবে তাই তাদের একজনকে খুঁজে পেলেও আমরা দুজনকেই পেয়ে যাবো। তার মধ্যে যেহেতু ইমাম মাহমুদ হাবীবুল্লাহ-ই মূল আমীর তাই তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টাই আগে করা দরকার। আর তার মাধ্যমেই তার সহচর তথা হিন্দের যুদ্ধের মূল সেনাপতিকেও খুঁজে পাওয়া যাবে। হাদিসগুলোতেও দেখা যায়, ইমাম মাহমুদ হাবীবুল্লাহ সম্পর্কেই বেশি বিস্তারিত তথ্য দেওয়া রয়েছে। এটাই স্বাভাবিক যে আমীরগণের পরিচয়-বৈশিষ্ট্য বেশি উল্লেখ আসবে তাদের সহচর বা বন্ধুদের চেয়ে।
যেহেতু জানা যায়, এই আমীরই হিন্দের যুদ্ধে নেতৃত্ব দিবে তাই এটাই স্বাভাবিক যে তিনি হিন্দ তথা হিন্দুস্তান থেকেই প্রকাশ পাবেন। কিন্তু কোথা থেকে প্রকাশ পাবেন সেটাই আমরা হাদিস থেকে দেখার চেষ্টা করবো।
হাদিস থেকে জানা যায়
হযরত বুরাইদা (রা:) বলেন, আমি রসূল ﷺ কে বলতে শুনেছি। খুব শীঘ্রই মুশরিকরা তাদের বন্ধু অঞ্চলের মুসলমানদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধি করে দেবে। আর তাদের অসংখ্য মানুষকে হত্যা করবে। তখন সেখানকার ‘বালাদি লিল ’উছরা’ অর্থাৎ দুর্গম নামক অঞ্চল থেকে একজন দুর্বল বালক যার নাম হবে মাহমুদ, তাদের মোকাবিলা করবে। আর তাঁর নেতৃত্বেই মুমিনদের বিজয় আসবে। রাবি বলেন, তিনি আরো বলেছেন, তাঁর একজন বন্ধু থাকবে যার উপাধি হবে সৌভাগ্যবান।
- (আস সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ৮৮১)
হযরত আলী (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূল ﷺ বলেছেন, অচিরেই হিন্দুস্তানের মুশরিকরা মুসলমিদের প্রতি নির্যাতন বৃদ্ধি করবে। সে সময়ে হিন্দুস্তানের পূর্ব অঞ্চল থেকে একজন নেতার প্রকাশ ঘটবে। যার নাম হবে মাহমুদ। পিতার নাম আব্দুল ক্বদীর। সে দেখতে খুবই দুর্বল হবে। তার মাধ্যমে আল্লাহ হিন্দুস্তানের মুসলিমদের বিজয় দান করবেন।
- (আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ ২৩০; ক্বাশ্ফুল কুফা ২৬১)
হজরত হুযাইফা বিন ইয়ামান রা: থেকে বর্ণিত, আমি রসূল ﷺ কে বলতে শুনেছি, শেষ জামানায় মাহদির পূর্বে, হিন্দের পূর্ব অঞ্চল থেকে একজন আমীর বের হবে এবং সে দুর্গম এলাকার, পাকা নামের জনপদের অধিবাসী হবে। তার নাম মাহমুদ, তার পিতার নাম কদির ও তার মাতার নাম সাহারা হবে এবং তার হাতে হিন্দুস্তানের বিজয় হবে।
- (আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ)
......সে সময়ে হিন্দুস্তানের পূর্ব ভূখন্ডের দূর্গম নামক একটি অঞ্চল থেকে একজন দুর্বল বালকের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। যার নাম হবে মাহমুদ। তার পিতার নাম আব্দীল (নামে আব্দিল বা আব্দুল থাকবে)। সে মুসলিমদের নেতৃত্ব দিয়ে হিন্দুস্তান বিজয় করবে। (প্রয়োজনীয় অংশ)
- (আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ, অধ্যায়ঃ গাজওয়াতুল হিন্দ, ২৩২)
......পঞ্চম হলো একজন নারী শাসক, সে শাসন ক্ষমতা হাতে পেয়ে বা'আল দেবতার ইবাদত (অর্থাৎ পূর্বপুরুষদের পূজা) বৃদ্ধি করবে। আর মুশরিকদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে। আর মুসলমানদের হত্যা করবে। অথচ সে হবে মুসলমান। তখন দেখবে সেখানকার দুর্গম অঞ্চলের এক দুর্বল বালক তাদের ষড়যন্ত্রের সমাপ্তি ঘটাবে এবং মুমিনদের বড় বিজয় আনবে। (প্রয়োজনীয় অংশ)
- (কিতাবুল আক্বিব ১৭২; আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ ১৭৫)
এই হাদিসগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে-
১। হিন্দুস্তান থেকে আত্মপ্রকাশ করবে।
২। হিন্দুস্তানের পূর্ব ভূখণ্ডে বা পূর্ব দেশ থেকে। যা হবে মুশরিকদের একটি বন্ধু অঞ্চল যাতে মুসলিমরা বাস করবে। সেই ভূখণ্ড বা দেশের শাসক হবে নারী শাসক।
৩। হিন্দুস্তানের পূর্ব দেশ বা ভূখণ্ড এর দুর্গম নামক অঞ্চল থেকে।
৪। হিন্দুস্তানের পূর্ব দেশ বা ভূখণ্ড এর দুর্গম নামক অঞ্চল এর পাকা নামের জনপদের অধিবাসী হবে।
এইসবগুলো মিলে যায় এমন জায়গা থেকেই তার আত্মপ্রকাশ হবে বা এটাই তার জন্মস্থান হবে। আমরা এই সব তথ্যসূত্র দিয়েই তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো ইংশাআল্লাহ।
হিন্দুস্তানের পূর্বদেশ বা পার্শ্বভূমি বলতে আমরা বাংলাদেশকেই জানি। কিন্তু পরের দুর্গম নামক অঞ্চল তথা ‘বালাদি লিল ’উছরা’ টি কোথায় সেটি খুঁজে বের করা দরকার। অনেকেই এটিকে ভেবেছে যে, দুর্গম অঞ্চল থেকে। কারণ বাংলাদেশেও তো অনেক দুর্গম বা পাহাড়ি অঞ্চল রয়েছে, আর তাও অনেকগুলো। এখন কোথা থেকে প্রকাশ পাবে বা তার জন্মস্থান হবে তা নির্ণয় করতে পারা যায় না। এরপর আবার তার মধ্যে ‘পাকা’ নামক জনপদ থাকবে যেখান থেকে তিনি বের হবেন। কিন্তু যদি সঠিকভাবে আরবি ইবারতটি দেখা হয় এর তাহলে দেখা যায় বালাদ অর্থ নগর, শহর বা অঞ্চল আর উছরা অর্থ কষ্টদায়ক, মুশকিল, দুর্গম ইত্যাদি। যদি ভালো করে খেয়াল করা হয় তাহলে দেখা যায় এটি ‘দুর্গম অঞ্চল’ নয়, ‘দুর্গম নামক অঞ্চল’। অর্থাৎ দুর্গম কোন অঞ্চল থেকে নয়। যে অঞ্চল থেকে প্রকাশ পাবে সেই অঞ্চলের নামই হবে দুর্গম। এখন বাংলাদেশে কি দুর্গম নামক বা এই নামে কোন অঞ্চল রয়েছে কিনা? অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর এই উত্তরও পাওয়া সম্ভব হয়েছে। আর তা হচ্ছে দুর্গম নামক একটি অঞ্চল রয়েছে এদেশে! বিভিন্ন ম্যাপ ও অনলাইনে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইতিহাস খোঁজ করে পাওয়া যায় যে, দুর্গম নামেই একটি অঞ্চল এই পূর্ব ভূখণ্ডে তথা বাংলাদেশে রয়েছে। আর সেই অঞ্চলটিই বর্তমানে নাটোর হিসেবে পরিচিত। এর নামকরণ বিষয়ে পাওয়া গেছে-
“নাটোর জেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নারদ নদী। কথিত আছে, এই নদীর নাম থেকেই ‘নাটোর’ শব্দটির উৎপত্তি। ভাষা গবেষকদের মতে, ‘নাতোর’ হচ্ছে মূল শব্দ। উচ্চারণগত কারণে এটি হয়ে গেছে ‘নাটোর’। নাটোর অঞ্চল নিম্নমুখী হওয়ায় চলাচল করা ছিল প্রায় অসম্ভব। এই জনপদের দুর্গমতা বোঝাতে বলা হতো ‘নাতোর’। ‘নাতোর’ অর্থ দুর্গম।”
- (নাটোর জেলা -ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ; কোন জেলার নামকরণ কীভাবে- নাটোরের নাম নিয়ে নানান জনশ্রুতি -বাংলা ট্রিবিউন)
খুঁজে পাওয়ার পর দেখা যায়, এই বিষয়ে অসংখ্য জায়গায় বিভিন্ন আর্টিকেল রয়েছে যাতে বলা হয়েছে নাটোরের নামকরণ ও উৎপত্তি নিয়ে। নাটোর এর মূল শব্দটি ছিল নাতোর। অর্থাৎ এটিই ছিল নাটোর এর প্রাচীন নাম। আর এর অর্থই হচ্ছে দুর্গম। নাতোর তথা দুর্গম নামকরণের কারণও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। আর তা হচ্ছে সেই জনপদ বা অঞ্চলটি দুর্গমও ছিল যাতে চলাচল করা কঠিন ছিল। এর নামকরণের আরো ইতিহাস থাকলেও এটি সর্বত্র সমাদৃত যে এটি দুর্গম একটি এলাকা ছিল, এ থেকেই এর নামকরণ নাতোর যা বর্তমানে নাটোর। নাটোর পৌরসভার ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়-
“অন্য তথ্য থেকে জানা যায়, বর্তমান জেলা সদরের অবস্থান এত নিচু ছিল যে, এখানে পায়ে চলাচল প্রায় অসম্ভব। তাই স্থানটিকে বলা হতো ‘নাতর’ (না-অসম্ভব এবং তর-গমন); যা থেকে কালক্রমে নাটোর নামের উৎস হয়েছে। অন্য অভিমত হচ্ছে জেলা সদরের পাশ দিয়ে প্রবহমান নারদ নদীর নাম থেকে কালক্রমে নাটোর জেলার নামকরণ হয়েছে।”
- http://natorepourashava.gov.bd/নাটোর-সম্পর্কে-বিস্তারিত/
- ‘নাতর’ (না-অসম্ভব এবং তর-গমন) অর্থাৎ এর অর্থ দাড়ায় এক কথায় দুর্গম। যাতে চলাচল করা বা গমন করা কষ্টকর বা প্রায় অসম্ভব।
অর্থাৎ দেখা যায় যে, প্রাচীন নাতোর অঞ্চল যা বর্তমান নাটোর অঞ্চল তথা জেলা, সেটিই দুর্গম অঞ্চল যার কথা হাদিসে বলা হয়েছে। আর অবিশ্বাস্য ব্যাপার এই যে, এই দুর্গম অঞ্চলের মধ্যেই ‘পাকা’ নামের জনপদ রয়েছে। نَضٰجَ শব্দের অর্থ হচ্ছে পরিপক্বতা বা পাকা যেটি হাদিসে এসেছে। সেই পাকা নামে নাটোরে রয়েছে একটি ইউনিয়ন। উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়-
“পাঁকা ইউনিয়ন বাংলাদেশের নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন পরিষদ।”
- https://bn.wikipedia.org/wiki/পাঁকা_ইউনিয়ন,_বাগাতিপাড়া
এই অঞ্চল ছাড়া আর কোন অঞ্চলের সাথে হাদিসের সাথে মিলে না। অর্থাৎ, বুঝা যায় যে এই অঞ্চলটিই সেই অঞ্চল ও জনপদ যার কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। সব বিশ্লেষণ দেখে বলা যায়- হিন্দের যুদ্ধের সেই আমীর অর্থাৎ ইমাম মাহমুদ হাবীবুল্লাহ হিন্দুস্তানের পূর্ব ভূখণ্ডের অন্তর্গত দুর্গম নামক অঞ্চলের পাকা নামক জনপদের অধিবাসী হবেন। সেটির বর্তমান ঠিকানা দাঁড়ায় – ভারতের পাশের দেশ তথা পূর্ব দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশের নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার অন্তর্গত পাঁকা ইউনিয়ন। সেখানেই তার জন্মস্থান বা সেখান থেকেই তিনি আত্মপ্রকাশ করবেন। উল্লেখ্য যে, এই ইউনিয়নটিতে মোট গ্রামের সংখ্যা ২৩টি ও মৌজার সংখ্যা ২৩টি। এখানে যদি আমরা খোঁজ করি তাহলে সেই হিন্দের নেতা ও সেনাপতিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতে পারে। আর যখন আত্মপ্রকাশ করবেন বা জনসম্মুখে আসবেন তখনও আমরা জানতে পারবো।
শাহ্ নিয়ামাতুল্লাহ (রহ:) এর কাসিদা থেকে
(৪৫) কাঁপিবে মেদিনী সীমান্ত বীর গাজীদের পদভারে
ভারতের পানে আগাইবে তারা মহারণ হুঙ্কারে।
ব্যাখ্যাঃ আক্রমণকারীরা ভারত উপমহাদেশের হিন্দু দখলকৃত এলাকার বাইরে থাকবে এবং হিন্দু দখলকৃত এলাকা দখল করতে হুঙ্কার দিয়ে এগিয়ে যাবে মেদেনীপুর দিয়ে। আর এই মেদেনীপুর সিমান্ত হচ্ছে বাংলাদেশের সাথে ভারতের। এদিক থেকেই ভারতে ঢুকবে।
উপরে একটি প্যারা ও তার ব্যাখ্যা কাসিদায়ে শাহ্ নিয়ামাতুল্লাহ (রহ:) থেকে উল্লেখ করা হয়েছে। শাহ্ নিয়ামাতুল্লাহ (রহ:) এর ভবিষ্যৎবাণী সম্বলিত কবিতাতেও উল্লেখ এসেছে যে, যখন ইমাম মাহমুদ হাবীবুল্লাহ ও তার বীর মুজাহিদরা জিহাদের জন্য আগাইবেন তখন মেদিনীপুর সীমান্ত ব্যবহার করবেন। এখন আমরা যদি দেখি এই মেদিনীপুর কোথায় বা এর সাথে কোন কোন দেশের সীমান্ত রয়েছে তাহলেও আমরা বুঝতে পারবো এই হিন্দের যুদ্ধের আমীর কোন এলাকা থেকে আত্মপ্রকাশ করবে। বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায়, এটি ভারতের সাথে বাংলাদেশের একটি বর্ডার এরিয়ার কাছেই অবস্থিত একটি অঞ্চল। বিভিন্ন নিউজে এরকম আসে যে “চুয়াডাঙ্গা জীবননগর সীমান্তের মেদিনিপুর এলাকা”। এই মেদিনীপুর কলকাতার পাশে এবং বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে কাছেই অবস্থিত। অর্থাৎ ভারতে ঢুকতে হলে এই মেদিনীপুর হয়ে ঢুকতে হয়। হয়তো ভারত ভাগের আগে এটিই ছিল একটি সীমান্ত বা অঞ্চল যা ঢোকা বা বের হওয়ার রাস্তা বা ট্রানজিট। এই সকল তথ্য থেকে বুঝা যায়, এই সকল হিন্দের মুজাহিদরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকবে মেদিনীপুর এলাকা দিয়ে। এভাবেই এক অঞ্চল থেকে অন্য সকল অঞ্চল বিজয় হবে এই হিন্দের যুদ্ধে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকেই ইমাম মাহমুদ হাবীবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান আত্মপ্রকাশ করবেন এবং জিহাদ করতে করতে ভারতে ঢুকবে মেদিনীপুর সীমান্ত ব্যবহার করে। শাহ্ নিয়ামাতুল্লাহ (রহ:) এর কাসিদা থেকে আর কোন তথ্য জানা যায় না।
আশ-শাহ্রান এর আগামী কথন থেকে
প্যারাঃ (১৯)
আহাজারী আর কান্নায় ভারী,
সে ভূমি হইবে ঘোর কারবালা।
খোদার মদদে "শীন" "মীম" সেক্ষণে,
আগাইবে করিতে শত্রুর মুকাবিলা।
আগামী কথন এর এই প্যারা থেকে বুঝা যায় যে, শীন ও মীম অর্থাৎ ইমাম মাহমুদ হাবীবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান শামীম বারাহ শত্রুর মুকাবিলা করতে আগাইবেন। এখানে ‘সে ভূমি হইবে ঘোর কারবালা’, সেই ভূমি থেকেই শত্রুর মুকাবিলা করতে আগাইয়া যাইবেন তারা। আর সেই ভূমিটি কোনটি তা আগের প্যারাতে উল্লেখ এসেছে।
প্যারাঃ (১৮)
সময় থাকতে হয়ে যেও জোট,
সেই সবুজ ভূখণ্ডের যুবকগণ।
অচিরেই দেখবে চোখের সামনে,
হত্যা হবে কত প্রিয়জন।
সবুজ ভূখণ্ড বলে এখানে বাংলাদেশকেই বুঝিয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশকে সবুজের দেশ বলে না। এই দেশের পতাকাতে সবুজ রংও এই কারণেই ব্যবহৃত হয়। কাসিদার মতো এতেও আর বিস্তারিত কোন তথ্য পাওয়া যায় না।
0 মন্তব্যসমূহ