৬.৭৫ কেয়ামতের আগে ঘটিতব্য বিষয় কিন্তু কখন তা জানা নেই

 কিছু হাদিস রয়েছে যা প্রায় প্রতি জামানাকেই চিহ্নিত করে। কেয়ামতের আগে অবশ্যই ঘটবে কিন্তু কখন হবে তার সঠিক সময় নির্ণয় করা যায় না বা প্রতি জামানাতেই এই আলামতগুলো ঘটছে, তা আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।

জাফর ইব্‌ন মুসাফির (রহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনু বুরায়দা (রা:) তার পিতা হতে নবী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তুর্কীর একটি ছোট চোখ বিশিষ্ট কাওম তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করবে। তিনি আরো বলেনঃ তোমরা তিনবার তাদের পরাস্ত করবে, এমন কি তোমরা তাদের আরব উপদ্বীপের সাথে মিলিয়ে দেবে। তাদের মধ্যে যারা প্রথমবার পালাবে, তারা মুক্তি পাবে। দ্বিতীবার যুদ্ধের সময় কিছু লোক ধ্বংস হবে এবং কিছু লোক নাজাত পাবে। আর তৃতীয়বার যুদ্ধের সময় তারা সমূলে ধ্বংস হবে, অথবা তিনি এ ধরনের কিছু বলেছেন।
-       (যঈফ, সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত/ আলবানী একাঃ) ৪৩০৫ [ইঃ ফাঃ ৪২৫৪])

হুযাইফা ইবনু আসিদ আল-গিফরী (রা:) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ -এর ঘরের ছায়ায় বসে কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। আমাদের কণ্ঠস্বর চরমে উঠলে রসূলুল্লাহ বললেনঃ দশটি আলামত প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কখনো কিয়ামত হবে না। সেগুলো হলোঃ পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদয় দাব্বাতুল আরদ নামক জন্তুর আবির্ভাব, ইয়াজূজ-মাজূজ দাজ্জাল ও ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ) ও ধোঁয়ার প্রকাশ, আর তিনটি ভূমিধ্বস; পাশ্চাত্যে, প্রাচ্যে একটি ও আরব উপদ্বীপে একটি। এগুলোর পরেই ইয়ামেনের আদান নামক স্থানে নীচ ভূমি থেকে আগুন বের হবে, যা মানুষকে হাশরের (সিরিয়ার) দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে।
-       (সহীহ, সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত/ আলবানী একাঃ) ৪৩১১ [ইঃ ফাঃ ৪২৬০]; সহীহুল মুসলিম ৩৯-(২৯০১); মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৬৪; সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৮৪৩; আস্ সুনানুল কুবরা লিন্ নাসায়ী ১১৩৮০; আল মু'জামুল কাবীর লিত্ব তবারানী ২৯৫৯; তিরমিযী; মুসনাদে আহমাদ)

আবূ মালেক আল-আশআরী (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ আমার উম্মাতের কতক লোক মদের ভিন্নতর নামকরণ করে তা পান করবে। (তাদের পাপাসক্ত অবস্থায়) তাদের সামনে বাদ্যবাজনা চলবে এবং গায়িকা নারীরা গীত পরিবেশন করবে। আল্লাহ তাআলা এদেরকে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দিবেন এবং তাদের কতককে বানর ও শূকরে রূপান্তরিত করবেন।
-       (সহীহ, সুনান ইবনু মাজাহ তাঃ পাঃ ৩/৪০২০; আবূ দাউদ ৩৬৮৮; আহমাদ ২২৩৯৩; মিশকাত ৪২৯২; রাওদুন নাদীর ৪৫২; সহীহাহ ১/১৩৮-১৩৯)

আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ অচিরেই লোকেদের উপর প্রতারণা ও ধোঁকাবাজির যুগ আসবে। তখন মিথ্যাবাদীকে সত্যবাদী গণ্য করা হবে, আমানতের খিয়ানতকারীকে আমানতদার আমানতদারকে খিয়ানতকারী গণ্য করা হবে এবং রুওয়াইবিয়া হবে বক্তা। জিজ্ঞাসা করা হলো, রুওয়াইবিয়া কি? তিনি বলেনঃ নীচ প্রকৃতির লোক সে জনগণের হর্তাকর্তা হবে।
-       (সহীহ, সুনান ইবনু মাজাহ তাঃ পাঃ ২/৪০৩৬; আহমাদ ৭৮৫২; সহীহাহ ১৮৮৭)

আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! দুনিয়া ধ্বংস হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না এক ব্যক্তি কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বলবে, হায়! আমি যদি এই কবরবাসীর পরিবর্তে এই স্থানে থাকতাম। তার ধর্মের কারণে একথা বলবে না, বরং বালা-মুসীবতের কারণে বলবে।
-       (সহীহ, সুনান ইবনু মাজাহ তাঃ পাঃ ৩/৪০৩৭; সহীহুল বুখারী ৭১১৫, ৭১২১; সহীহুল মুসলিম ৫৪-(১৫৭); মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৪৫; মুসনাদে আহমাদ ৭১৮৬, ১০৪৮৫; মুয়াত্তা মালেক ৫৭০; সিলসিলাতুস সহীহাহ ৫৭৮; সহীহুল জামি ৭০০২)

আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ লোকজনের সাথে বসা ছিলেন। তখন তাঁর নিকট এক ব্যক্তি এসে বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ! কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে? তিনি বলেনঃ জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাকারীর চেয়ে অধিক জ্ঞাত নয়। তবে আমি তোমাকে এর কতক আলামত সম্পর্কে অবহিত করবো। যখন দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে, এটি কিয়ামতের একটি আলামত। যখন নগ্নপদ ও নগ্ন দেহবিশিষ্ট লোকেরা জনগণের নেতা হবে, এটি কিয়ামতের একটি আলামত। যখন মেষপালের রাখালেরা সুরম্য অট্টালিকায় বসবাস করবে। এগুলো হলো কিয়ামতের আলামত। এমন পাঁচটি বিষয় আছে যে সম্পর্কে আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ জানে না। অতঃপর রসূলুল্লাহ এই আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ): কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর নিকট রয়েছে। তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন যা জরায়ুতে রয়েছে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না সে কোন স্থানে মারা যাবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয় অবহিত (সূরা লোকমান, আঃ ৩৪)।
-       (সহীহ, সুনান ইবনু মাজাহ তাঃ পাঃ ৫/৪০৪৪; সহীহুল বুখারী ৫০, ৪৭৭৭; মুসলিম ৯, ১০; নাসায়ী ৪৯৯১; আহমাদ ৯২১৭)

আনাস ইবনে মালেক (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের জন্য এমন একটি হাদীস বর্ণনা করবো না, যা আমি রসূলুল্লাহ -এর নিকট শুনেছি? আমার পরে সেই হাদীস আর কেউ তোমাদের নিকট বর্ণনা করবে না। আমি তাঁর কাছে শুনেছি যে, কিয়ামতের কতক আলামত এই যে, এলেম উঠিয়ে নেয়া হবে, অজ্ঞতার বিস্তার ঘটবে, যেনা-ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে, মদ পান করা হবে, পুরুষ লোকের অধিক হারে মৃত্যু হবে, অধিক হারে নারীরা বেঁচে থাকবে, এমনকি পঞ্চাশজন নারীর রক্ষণাবেক্ষণকারী হবে একজনমাত্র পুরুষ।
-       (সহীহ, সুনান ইবনু মাজাহ তাঃ পাঃ ৬/৪০৪৫; সহীহুল বুখারী ৮০, ৬৮০৮; সহীহুল মুসলিম ২৬৭১; সুনান আত তিরমিযী ২২০৫; মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৩৭; সহীহুল জামি ২২০৬; সিলসিলাতুস্ সহীহাহ ২৭৬৭; মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ৩৭২৮০; আবু ইয়া'লা ২৯৩১; সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৭৬৮; আস্ সুনানুল কুবরা লিন্ নাসায়ী ৫৯০৫; হিলইয়াতুল আওলিয়া ৬/২৮০; মুসনাদে আহমাদ ১২১১৮, ১২৩৯৫, ১২৬৮২, ১২৮১৮, ১৩১১২, ১৩৪৭০, ১৩৬৬৪)

আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ বলেনঃ ধন-সম্পদের প্রাচুর্য, কলহ-বিপর্যয়ের প্রকাশ ও হারাজ-এর আধিক্য না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত হবে না। লোকজন বললেন, হে আল্লাহর রসূল! হারাজ কি? তিনি বলেনঃ গণহত্যা, গণহত্যা, গণহত্যা, তিনবার (এ কথা বলেন)।
-       (সহীহ, সুনান ইবনু মাজাহ তাঃ পাঃ ৮/৪০৪৭, ৪০৫২, সহীহুল বুখারী ৮৫, ১০৩৬, ১৪১২, ৭১২১, মুসলিম ১৫৭, আহমাদ ৭১৪৬, ৭৪৯৬, ৭৮১২, ৯১২৯, ৯৮৭১, ২৭৩৫১, ২৭৭৮৯, ১০৪৮১, ১০৪০৯)

আবূ মূসা (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ তোমাদের পরে এমন যুগ আসবে, যখন অজ্ঞতা ও মূর্খতার বিস্তার ঘটবে, এলেম উঠিয়ে নেয়া হবে এবং হারজ বৃদ্ধি পাবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! হারজ কি? তিনি বলেনঃ গণহত্যা।
-       (সহীহ, সুনান ইবনু মাজাহ তাঃ পাঃ ৪/৪০৫১; সহীহুল বুখারী ৭০৬৩, ৭০৬৫, মুসলিম ২৬৭২, তিরমিযী ২২০০, আহমাদ ৩৬৮৭, ৩৮০৭, ৩৮৩১, ৪২৯৪, সহীহ আল-জামি' ২২৩৩)

আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ জামানা সংক্ষিপ্ত হয়ে যাবে, এলেম হ্রাস পাবে এবং কৃপণতার বিস্তার ঘটবে, কলহ-বিপর্যয়ের বিস্তার ঘটবে এবং হারজ বৃদ্ধি পাবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! হারজ কি? তিনি বলেন, ব্যাপক আকারে হত্যা।
-       (সহীহ, সুনান ইবনু মাজাহ তাঃ পাঃ ৫/৪০৫২, ৪০৪৭; সহীহুল বুখারী ৮৫, ১০৩৬, ১৪১২, ৭১২১; সহীহুল মুসলিম ১৫৭; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ২০৭৪৪; মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ৩৭৩৮৪; মুসনাদে বাযযার ১৬৯১; আবূ ইয়া'লা ৬২৯৩; সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৬৫১; হিলইয়াতুল আওলিয়া ৪/৯৯; আল মু'জামুল কাবীর লিত্ব তবারানী ১০০৬১; আল মু'জামুল আওসাত্ব ৩২৭৭; মিশকাত ৫৩৮৯-[১১]; মুসনাদে আহমাদ ৭১৪৬, ৭৪৯৬, ৭৮১২, ৯১২৯, ৯৮৭১, ২৭৩৫১, ২৭৭৮৯, ১০৪৮১, ১০৭৩৫)

আবূ হুরায়রাহ্ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেন: সেই মহান সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! সেই পর্যন্ত দুনিয়ার পরিসমাপ্তি ঘটবে না, যে পর্যন্ত না মানুষের ওপর এমন একদিন আসবে, যেদিন হত্যকারী বলতে পারবে না কেন সে হত্যা করেছে এবং নিহত ব্যক্তিও জানতে পারবে না কেন সে নিহত হয়েছে। প্রশ্ন করা হলো, এটা কিরূপে হবে? তিনি বললেন, ফিতনার কারণে। যাতে হত্যাকারী ও নিহত উভয়ই জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
-       (সহীহ, মুসলিম ৫৫-(২৯০৮); সহীহুল জামি ৭০৭৬; মিশকাত ৫৩৯০-[১২])

সাওবান (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেন: আমার উম্মতের মধ্যে যখন একবার তলোয়ার চালিত হবে, তখন তা আর কিয়ামত পর্যন্ত বন্ধ করা হবে না। আর কিয়ামত সেই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হবে না যে পর্যন্ত না আমার উম্মতের কোন কোন সম্প্রদায় মুশরিকদের সাথে মিলিত হবে এবং যেই পর্যন্ত না আমার উম্মতের কোন গোত্র মূর্তিপূজা করবে। তিনি আরো বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে আমার উম্মতের মাঝে ত্রিশজন মিথ্যাবাদীর আগমন ঘটবে এবং তারা প্রত্যেকেই আল্লাহর নবী হওয়ার দাবি করবে। অথচ সত্য কথা হলো, আমিই শেষ নবী, আমার পরে আর কোন নবী নেই। তিনি আরো বলেছেন, আমার উম্মতের একটি দল সত্যের উপর অনড় থাকবে, যারা তাদের বিরোধিতা করবে, তারা কিয়ামত আসা পর্যন্ত তাদের কোনই ক্ষতিসাধন করতে পারবে না।
-       (সহীহ, আবূ দাউদ ৪২৫২; সুনান আত তিরমিজী ২২০২, সহীহুল জামি' ৮২৮; মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪০৬-[২৮]; আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৮৩৯০; সুনান ইবনু মাজাহ ৩৯৫২; সিলসিলাতুস সহীহাহ্ ১১০৮; মুসনাদে আহমাদ ১৬৯৫৬; বুখারী ৭১; মুসলিম ১৭৬-(১৯২৪); সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৮৩৬; আস্ সুনানুল কুবরা লিন্ নাসায়ী ৮৭১২; আল মু'জামুল কাবীর লিত্ব তবারানী ১৬১১১; আল মু'জামুল আওসাত্ব ৮৩৯৭; আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৮৪০৯)

আনাস ইবনু মালেক (রা:) থেকে বর্ণিত, রসূল বলেন, ঐসময় পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না একটি বছর একটি মাসের সমান হবে। একটি মাস একটি সপ্তাহের সমান হবে। একটি সপ্তাহ হবে একটি দিনের সমান। আর একটি দিন হবে আগুনের শিখার সমান।
-       (যঈফ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৭৯৭)

হারজ বা গণহত্যা প্রতি জামানেই কম বেশি দেখা যায়। ইতিহাসে ফিতনাও অনেক হয়েছে। তাই নির্দিষ্ট করে এগুলো বলা যায় না যে কখনকার সময়ের। সময়ের বরকত কমে যাবে কিন্তু কখন থেকে কমবে তা নির্ণয় করা যায় না তবে শেষ জামানা থেকেই হবে এবং কেয়ামতের আগেই হবে তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন যুদ্ধ-বিগ্রহ যাতে নিহত ও নিহতকারী জানবে না কেন হত্যা হলো ও কেন করলো, এটিও বিভিন্ন জামানায় দেখা যায় তবে শেষ জামানায় যে আরো এরকম ঘটবে তা বলাই বাহুল্য।

ইনশাআল্লাহ আগামীর ফিতনা অধ্যায় পড়ে আমরা সেই সকল বিষয়গুলো জানতে পারলাম যা আমাদের সামনে ভবিষ্যতে ঘটতে যাচ্ছে। আমাদের তখন করণীয়-বর্জনীয় কি হবে সেটিও হয়তো সকলে পরিষ্কারভাবে বুঝেছেন। আর যদি সেভাবে না চলা হয় তাহলে কি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে সেটিও স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বোপরি বিষয়, আমাদেরকে এই দুনিয়াতে সুখে-শান্তিতে থাকতে হলেও, ইসলাম পরিপূর্ণভাবে পালন করা ব্যতীত অন্য কোন উপায় নেই।

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ