৪.৬ গাজওয়াতুল হিন্দ কবে হবে?

 আমরা হিন্দের যুদ্ধ নিয়ে যে সকল হাদিসগুলো পড়েছি তা থেকেই এটি বুঝা যায় যে আমাদের সামনেই সেই হিন্দের যুদ্ধ সংঘটিত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ৩.১১ গাজওয়াতুল হিন্দ খুবই নিকটে পয়েন্টে এবং ৩.৯ গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিসগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা পয়েন্টে আলোচনা করা হয়েছে তাই এখানে আর বিস্তর আলোচনায় যাওয়া হচ্ছে না। তবে এটি যে ইমাম মাহদীর আগমনের আগেই হবে সে বিষয়ে আশা করি সকলেই পরিষ্কার।

৪.৬.১ হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী সময়

হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা:) বলেছেন, শেষ জামানায় ইমাম মাহমুদ ও তাঁর বন্ধু সাহেবে কিরানের প্রকাশ ঘটবে। আর তাদের মাধ্যমে মুশরিকদের উপর মুসলমানদের বড় বিজয় আসবে। আর তা হবে মাহদীর আগমনের পূর্বে।
-       (আস সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ৮৭২; আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ, অধ্যায়ঃ শেষ জামানায় আত্মপ্রকাশকারী নেতা)

হযরত আবু হুরায়রা (রা:) বলেন, আমি রসূল কে বলতে শুনেছি অবশ্যই অবশ্যই পৃথিবী ততদিন ধ্বংস হবে না যতদিন না মানুষ পাঁচজন শাসকের দেখা পাবে। যারা আল্লাহর দ্বীনকে যুক্তি করে ধ্বংস করতে চাইবে। আর তারা পাঁচ শাসকই এক সাথে পৃথিবীতে উপস্থিত থাকবে। আমি (আবু হুরায়রা) বললামঃ হে আল্লাহর রসূল ! সে পাঁচজনের পরিচয় কী? তিনি বললেনঃ তাদের একজন এই পবিত্র ভূমিতে আসবে। যার নাম হবে আমার নামের মতো (মুহাম্মাদ)। সে আরবের দ্বীনকে হাস্যকর বানাবে। আর অভিশপ্ত (ইহুদী-খ্রিষ্টান) জাতিকে বন্ধু বানাবে। দ্বিতীয় সে বিশ্ব শাসক হবে। আর মুসলমানদের নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকবে। তৃতীয় জন হিন্দুস্তানের বাদশা, সে বন্ধু অঞ্চলের মুসলমানদের নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করবে। চতুর্থ জন, হিন্দুস্তানের দ্বিতীয় বাদশা। যে মুসলমানদের হত্যার শপথ নিয়ে শাসন ক্ষমতায় যাবে। আর মুসলিম হত্যায় সে উন্মাদ হয়ে পড়বে। পঞ্চম হলো একজন নারী শাসক, সে শাসন ক্ষমতা হাতে পেয়ে বা'আল দেবতার ইবাদত (অর্থাৎ পূর্বপুরুষদের পূজা) বৃদ্ধি করবে। আর মুশরিকদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে। আর মুসলমানদের হত্যা করবে। অথচ সে হবে মুসলমান। তখন দেখবে সেখানকার দুর্গম নামক অঞ্চলের এক দুর্বল বালক তাদের ষড়যন্ত্রের সমাপ্তি ঘটাবে এবং মুমিনদের বড় বিজয় আনবে।
-       (কিতাবুল আক্বিব ১৭২; আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ ১৭৫)

হযরত হুযাইফা (রা:) বলেন, আমি আল্লাহর রসূল কে বলতে শুনেছি, মানুষের জীবনে এমন একটি সময় আসবে, যখন তারা বছরে দু এক বার বিপর্যস্ত হবে! যার একটি শুরু হবে বায়ু দ্বারা যা মুশরিকদের দূর্গ ক্ষতিগ্রস্তের মাধ্যমে! আর শেষ হবে দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে। আর এই দুর্ভিক্ষ শেষ হতেই মুশরিকরা একটি ফিতনা সৃষ্টি করবে! যার মুকাবিলা করার জন্য হিন্দুস্তানের পূর্ব অঞ্চল থেকে একদল মুসলিম ধাবিত হবে। কিন্তু মুশরিকরা তাদের এমন ভাবে হত্যা করবে যেমন ভাবে তোমরা এক নির্দিষ্ট দিনে (কুরবানীর দিন) পশুগুলোর উপর আল্লাহর নাম স্মরণ করো! ফলে তারা পরাজিত হবে। অনুরূপ আরেকটি মুসলিম দল মুশরিকদের দিকে ধাবিত হবে (মুকাবিলা করতে)। তাদের সাথে আল্লাহর সাহায্য থাকবে। তারাই বিজয়ী। একথা তিনি (রসূল ) তিন বার বললেন। অতঃপর বললেন, তাদের নেতা হবে দুর্বল! আহ্ প্রথম দলটির জন্য কতইনা উত্তম হতো যদি তারা তাদের নেতাকে গ্রহণ করতো! আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! তারা তাদের নেতাকে গ্রহণ করবে না কেন? তিনি বললেন, কেননা তারা সে সময় নিজেরাই নিজেদের যোগ্য মনে করবে! *
-       (আখীরুজ্জামানা আল মাহাদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ ১১৯)
-       * মুশরিকদের যে দুর্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে বিষয়ে জানতে বইয়ে দেখুন বা ইউটিউবে সার্চ করুন- পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিশান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া! হিন্দুদের জন্য অশনি সংকেত! ডকুমেন্টারি। তাতে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে।

হযরত সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রহ.) বলেন, আমি আমার পিতা থেকে শুনেছি, রসূলুল্লাহ বলেছেন খুব শীঘ্রই হিন্দুস্তানের মুশরিকদের পতন হবে। আর তা হবে এক দুর্বল বালকের নেতৃত্বে। আর তার নাম হবে মাহমুদ। আল্লাহ তার মাধ্যমে হিন্দুস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। (প্রয়োজনীয় অংশ)
-       (আস সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ১৫৩৮, ১৭০৩; কিতাবুল আক্বিব ১৩৭)

অতএব, হাদিস থেকে আমরা যে সময়কাল পাই তা দেখা যাচ্ছে খুবই নিকটে। আর মুশরিকদের দুর্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনাটিও বাস্তবায়িত হয়েছে (বিস্তারিত ৮.২)। যাতে বুঝা যাচ্ছে সময় একদম কাছেই। বলা যায় আমাদের বর্তমান সময়েই এটি সংঘটিত হবে।

 

 

৪.৬.২ শাহ্‌ নিয়ামাতুল্লাহ এর কাসিদাহ অনুযায়ী সময়

সর্বশেষ আমরা যদি শাহ্‌ নিয়ামাতুল্লাহ (রহঃ) এর কাসিদা ও আগামী কথন পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, সেটি আমাদের থেকে অনেক কাছেই। কাসিদাতে বলা হয়েছে-

(৩৭) এরপর যাবে ভেগে নারকীরা পাঞ্জাব কেন্দ্রের
ধন সম্পদ আসিবে তাদের দখলে মুমিনদের।

(৩৮) অনুরূপ হবে পতন একটি শহর মুমিনদের
তাহাদের ধনসম্পদ যাবে দখলে হিন্দুদের।

(৩৯) হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ সেখানে চালাইবে তারা ভারি
ঘরে ঘরে হবে ঘোর কারবালা ক্রন্দন আহাজারি।

(৪০) মুসলিম নেতা অথচ বন্ধু কাফেরের তলে তলে,
মদদ করিবে অরি কে সে এক পাপ চুক্তির ছলে।

(৪১) প্রথম অক্ষরে থাকিবে শীন এর অবস্থান
শেষের অক্ষরে থাকিবে নূনও বিরাজমান
ঘটিবে তখন এসব ঘটনা মাঝখানে দুঈদের
ধিক্কার দিবে বিশ্বের লোক জালিম হিন্দুদের।

(৪২) মহরম মাসে হাতিয়ার হাতে পাইবে মুমিনগণ
ঝঞ্ঝার বেগে করিবে তাহারা পাল্টা আক্রমণ।

(৪৩) সৃষ্টি হইবে ভারত ব্যাপিয়া প্রচণ্ড আলোড়ন
উসমান এসে নিবে জিহাদের বজ্র কঠিন পণ!

(৪৪) সাহেবে কিরানহাবীবুল্লাহ হাতে নিয়ে শমসের।
খোদায়ী মদদে ঝাঁপিয়ে পড়িবে ময়দানে যুদ্ধের।

(৪৫) কাপিবে মেদিনী সীমান্ত বীর গাজীদের পদভারে
ভারতের পানে আগাইবে তারা মহারণ হুঙ্কারে।

(৪৬) পঙ্গপালের মত ধেয়ে এসে এসব গাজীয়ে দ্বীন
যুদ্ধে জিতিয়া বিজয় ঝাণ্ডা করিবেন উড্ডিন।

(৪৭) মিলে এক সাথে দক্ষিণী ফৌজ ইরানী ও আফগান
বিজয় করিয়া কবজায় পুরা আনিবে হিন্দুস্তান।

এ থেকে ব্যাখ্যা করলে বুঝা যায়, পাঞ্জাব কেন্দ্রের তথা জম্বু-কাশ্মীর এলাকা মুমিনদের দখলে আসার পরই অনুরূপ আরেকটি শহর যার নেতা হবে মুসলিম এবং সেই নেতার নামের অক্ষরও দেওয়া হয়েছে ইঙ্গিতে, সেই অঞ্চল বা দেশটি মুশরিকরা জবরদস্তি করে দখলে আনবে ও ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাবে। এরপরই এখানে জিহাদের দামামা বেজে উঠবে এবং তখন হাবীবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান নামের দুজন লোক বের হবে, জিহাদের নেতৃত্ব থাকবে তখন তাদের হাতে। আর হাদিসে পাওয়া যায় এই নামের তথা উপাধির নেতারাই হিন্দের যুদ্ধে নেতৃত্ব দিবেন। এখন দেখা যাচ্ছে যে কাশ্মীরকে দখল করার জন্য ভারত তাদের পূর্ণশক্তি ব্যয় করছে। সেখানে বড় ধরনের যুদ্ধ চলছে। সেই অঞ্চলকে এমন ভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে যে সেখানকার তেমন সংবাদ বিশ্বের অন্য কোথাও যাচ্ছে না। আর শয়তানী মিডিয়াও সেখানকার সংবাদগুলো প্রচার করতেছে না, যাতে মুসলিম বিশ্ব জানতে পারে। কিন্তু আমরা তো আরো আগে থেকেই এটা জানতে পেরেছি যে, সেই অঞ্চল মুমিনরা বিজয় করে ফেলবে। সেখানে এখন বিভিন্ন জিহাদি দল যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই অঞ্চল বিজয়ের পরই হিন্দুস্তানের মুশরিকদের সাথে মুসলিমদের চূড়ান্ত সংঘাত বেঁধে যাবে আর সব দিকে এখন সেই প্রস্তুতিই চলছে।

৪.৬.৩ আশ-শাহ্‌রান এর আগামী কথন অনুযায়ী সময়

অনুরূপ কথাই আশ-শাহ্‌রান এর আগামী কথন কবিতাতে বলা হয়েছে। তাতে এসেছে-

প্যারাঃ (৬)

অতি সত্তর পাঞ্জাব কেন্দ্রে, গাইবে মুমিনেরা জয়গান।
একটি শহর আসিবে দখলে, ঈমানদারদের খোদার দান।

প্যারাঃ (১২)

একটি শহর পেয়েছে মুমিনেরা, হারাইবে অনুরুপ একটি।
স্বাধীনতার অর্ধ-শতাব্দীরও পর, হাত ছাড়া হবে দেশটি।

প্যারাঃ (১৩)

পঞ্চ হরফ "শীন"-এ শুরু, "নুন" -এ খতম নাম।
মিত্র দলের আশ্রয়েতে, নেতা হইবে অপমান।

প্যারাঃ (১৬)

কাশ্মীর হারিয়ে কাফের জাতি, ক্ষিপ্ত থাকিবে যখন।
ছলনা বলে দুসনের মাঝেই, তারা করিবে পার্শভূম দখল।

প্যারাঃ (১৭)

পাপে লিপ্ত হিন্দবাসী, সে ভূমে, ছাড়াইবে শোয়া কোটি ছয় খুন।
চোখের সামনে ইজ্জত হারাইবে, লক্ষ-কোটি মা বোন।

প্যারাঃ (১৯)

আহাজারী আর কান্নায় ভারী, সে ভূমি হইবে ঘোর কারবালা।
খোদার মদদে "শীন" "মীম" সেক্ষণে, আগাইবে করিতে শত্রুর মুকাবিলা।

প্যারাঃ (২০)

শীন সে তো সাহেবে কিরান, মীম-এ হাবীবুল্লাহ!
জালিমের ভূমিতে ঘটাইবে মহালয়, সাথে আছে মহান আল্লাহ!

এখান থেকেও আমরা একই ইঙ্গিত পাই যে, এই হিন্দের যুদ্ধ কখন, কিভাবে ও কার মাধ্যমে হবে। যেমনটি কাসিদাতেও বলা হয়েছে।

 

 

৪.৬.৪ সমসাময়িক আলিমগণের মতে কাঙ্ক্ষিত সময়

সমসাময়িক আলেমগণ এই যুদ্ধ কখন হবে সে বিষয়ে যে সকল ইঙ্গিত দিয়েছেন তা এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করা যেতে পারে। যদিও সেগুলো দলিল হিসেবে নিচ্ছি না।

১। আবু উমার আল মুহাজির তার আধুনিক মাসায়েল তথা মাসায়েলে জিহাদ বইতে গাজওয়াতুল হিন্দ নামে একটি শিরোনাম আনেন এবং তাতে লিখেন-

ধীরে ধীরে ভারত উপমহাদেশ জিহাদের ভূমিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। হাদীসের মাওউদ (ভবিষ্যদ্বানীকৃত) গাযওয়াতুল হিন্দ এর চূড়ান্ত পর্ব মঞ্চস্থ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ইসকন, আর এস এস, বজরং, শিবসেনাসহ অন্যান্য হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর কর্যক্রম তো তাই বলছে। কারণে অকারণে হিন্দুস্তানে নিয়মিত মুসলিমদেরকে পিটিয়ে হত্যা করা তো সে দিকেই ইংগিত করছে। হিন্দুদের অতিমাত্রায় সাম্প্রদায়িক হয়ে ওঠা, অখণ্ড ভারত নিয়ে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা সে দিকেই ইশারা করছে। এ দেশের ৮% হিন্দুর ২৫% সরকারি বড় বড় পদ দখলে নেওয়া। র‌্যাব, পুলিশ, আর্মিতে ভারতীয় হিন্দুদের অনুপ্রবেশ। প্রিয়াসাহার মিথ্যাচার। সিলেটে ইসকনের বিরুদ্ধে বলায় অজানা লোকদের হাতে ইমাম সাহেবের নিহত হওয়া। বি.বাড়িয়ায় মসজিদে আগুন লাগিয়ে দেওয়া। চিটাগংয়ে মুসলিমদের স্কুলের ছোট বাচ্চাদেরকে পূঁজার প্রাসাদ খাইয়ে বাচ্চাদের দ্বারা হরে রাম, হরে কৃষ্ণর শ্লোগান আওড়ানো। সম্প্রতি চাকমাদের দ্বারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের সাথে যুক্ত করার দাবি উঠানো। ২০২১ইং এর মধ্যে হিন্দুস্তান থেকে সমস্ত মুসলিমকে তাড়িয়ে দেওয়ার স্পষ্ট হুমকি। ব্যাপকভাবে হিন্দু যুবক-যুবতী, এমনকি শিশু-কিশোরদেরকেও অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া-এসব কি একজন জ্ঞানীকে নাড়া দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়? এসব কি একজন দূরদর্শী ব্যক্তিকে ভাবানোর জন্য উপযুক্ত নয়?

হে আমার মুসলিম ভাই! প্রলয়ংকারী এক মহাঝড় আপনার দিকে ধেয়ে আসছে। হয়তো আগামী ৫/৬ বছরের মধ্যেই এই ঝড় এদেশে আঘাত হানবে। ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ এই ঝড়ে হয়তো আপনার পরিবার-পরিজন, বাড়ি-ঘর সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাবে। আপনার স্বপ্নগুলোর জ্যান্ত কবর রচিত হবে। আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু হয়তো ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই হে আমার ভাই! উঠুন, জাগুন। জিহাদ ও কিতালের জন্য প্রস্তুত হোন। কমপক্ষে নিজের ঈমান, নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য হলেও অগ্রসর হোন। মুজাহিদীনকে তালাশ করে বের করুন। তাদের সাথে লেগে থাকুন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকার ও দরবারী মৌলভীদের প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্ত না হয়ে জঙ্গিবাদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করুন। নিজেকে একজন খালেস জঙ্গীরূপে গড়ে তুলুন। জান-মাল দিয়ে আসন্ন গাযওয়াতুল হিন্দে শরীক হোন। আর জাহান্নাম থেকে মুক্তির সনদ কিংবা উঁচু পর্যায়ের শাহাদাতের মর্যাদা হাসিল করে নিন। আল্লাহ তাআলা তাওফীক দান করেন।

বি.দ্র. অনেক মুসলিম ভাই-বোন মনে করতে পারে, আমি তো মৌলবাদী মুসলিম নই, আমার তো দাড়ি-টুপি নেই, পর্দা করি না, রোযা রাখি না, নামায পড়ি না, ধর্মের ধারধারি না, তাই এ দেশে হিন্দুদের আগ্রাসন হলেও তারা আমাকে কিছুই বলবে না। না ভাই। আপনি ভুলের মধ্যে আছেন। মুসলিম নাম এবং আদমশুমারিতে মুসলিমদের দলে থাকাই আপনার ভাগ্যবিপর্যয়ের জন্য যথেষ্ট হবে। আরাকানের মুসলিমদের প্রতি লক্ষ্য করুন। তাদের মধ্যে অনেকেই মোটেও ধর্মকর্ম করে না। অনেকেরই দাড়ি-টুপি নেই। তা সত্ত্বেও কিন্তু তারা বাঁচতে পারেনি। তাই তাদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। নিজেকে এখন থেকেই মৌলবাদী ও আদর্শ মুসলিমরূপে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তাআলা তাওফীক দান করেন। আমীন।
-       (আধুনিক মাসায়েল, পৃষ্ঠাঃ ১৯৩-১৯৪)

তার এই বইটি লেখার সময়কাল ২০১৯ সাল এবং তিনি যে আগামী ৫/৬ বছরের মধ্যেই এই দুর্যোগ আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন সেই সময়টি যে তেমনই সেটিও আমরা বিভিন্ন হাদিস ও বর্তমান যুগ পর্যালোচনা করে বুঝতে পারি।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ