এই বিষয়ে “৩.৯ গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিসগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা” পয়েন্টে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে মূল হাদিসগুলো আবারো দেওয়া হলো, যাতে বুঝতে পারি আর কোন কোন সময়ে এই মর্যাদাপূর্ণ হিন্দের যুদ্ধ সংঘটিত হবে।
হযরত সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রহ.) বলেন, আমি আমার পিতা থেকে শুনেছি, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, খুব শীঘ্রই হিন্দুস্তানের মুশরিকদের পতন হবে। আর তা হবে এক দুর্বল বালকের নেতৃত্বে। আর তার নাম হবে মাহমুদ। আল্লাহ তার মাধ্যমে হিন্দুস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। অতঃপর তার মৃত্যুর পর তার এক প্রতিনিধির - ইহুদীদের সাথে শান্তি চুক্তি হবে এবং ইহুদিরা হিন্দুস্তানের একটি অঞ্চল দখলে নেবে। সাহাবীগণ বলল, হে আল্লাহর রসূল ﷺ তারা কী শান্তি চুক্তি রক্ষা করে সেখানে বসবাস করবে? তিনি (রসূল ﷺ) বললেন, না। বরং তারা চুক্তি ভঙ্গ করে প্রতারণা করে হিন্দুস্তান দখলে আনবে এবং সেখানে বসবাস করবে। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! মুসলমানগণ কি তাদের মোকাবেলা করবে না? তিনি বললেন, করবে। সে সময় মাহমুদের প্রতিনিধি বিশ্ব শাসকের নিকট সে ব্যপারে অনুমতি চেয়ে একটি পত্র পাঠাবে। তখন শাসক বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে সেখানে একদল সেনা পাঠাবে এবং আবার ইহুদীদের পরাজিত করবে।
- (আস সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ১৫৩৮, ১৭০৩; কিতাবুল আক্বিব ১৩৭)
হযরত বিলাল ইবনে রাবাহ (রা:) বলেন, রসূল ﷺ বলেছেনঃ হিন্দুস্তান মুসলমানরা শাসন করবে। আবার তা মুশরিকরা দখল করবে এবং তারাই সেখানে তাদের সকল হুকুম প্রতিষ্ঠা করবে। আবার তা মুসলমানরা বিজয় করবে যাদের নেতা হবে মাহমুদ এবং সেখানে আল্লাহর হুকুম প্রতিষ্ঠিত হবে। আর তা ইসা ইবনে মরিয়ম (আ.) পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত থাকবে। কিন্তু লা'নত ইহুদিদের প্রতি। একথা বলে তিনি (রসূল ﷺ) রাগান্নিত হয়ে গেলেন। তার চেহারায় রক্তিম চিহ্ন প্রকাশ পেল। সাহাবীগণ তাদের কন্ঠ নিচু করে বললেন, হে আল্লাহর রসূল সেখানে ইহুদিদের কর্ম কী? তিনি বললেন, অভিশপ্ত জাতিরা মাহমুদের একজন প্রতিনিধির সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করবে এবং সেখানকার একটি অঞ্চল তাদের দখলে নেবে। সাহাবীগণ বললেন, তখন কী তারা (মুসলমানরা) অভিশপ্ত জাতিদের মোকাবেলা করবে না? তিনি বললেন, হ্যাঁ করবে। আর তাদের সাহায্য করবে বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেমের) একজন বাদশা।
- (আস সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ১৭০৮; কিতাবুল আক্বিব ১৩৮)
- (আস সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ১৫০৭; কিতাবুল আক্বিব ১০০; আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ ২৩৫)
0 মন্তব্যসমূহ